আমাদের দাউদকান্দি ডেস্ক,
ঘুরে আসতে পারেন বাংলার নায়াগ্রা নাফাখুম জলপ্রপাত। এটি বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলায় অবস্থিত। বান্দরবান জেলা সদর থেকে থানচি উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৮৩ কিলোমিটার। সাঙ্গু নদীর পাড়ে উপজেলাটি। থানচি থেকে তিন্দু ও রেমাক্রিং হয়ে নাফাখুম যেতে হয়। সাঙ্গু নদী ধরেই রেমাক্রীং এর দিকে নৌকা ধীরে ধীরে উপরে দিকে উঠে। প্রতিটি নৌকায় ৫ জনের বেশি উঠা যাবে না। থানচি থেকে রেমাক্রীয় নৌকায় যেতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘন্টা। যাওয়ার সময় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য মুগ্ধ হবেন, মাঝে মাঝে ভয়ও পাবেন যখন নৌকাটি নিচে থেকে উপড়ে উঠবে। নদীর দুই ধারে উচু উচু পাহাড়ের চূড়ায় জমে থাকা মেঘ। সবুজে মোড়ানো প্রতিটি পাহার যেন মেঘেরকোলে শুয়ে আছে অবলীলায়। নদীর দুপাশে উচু উচু পাহাড়। সবুজে মোড়ানো প্রতিটি পাহাড় যেন মেঘের কোলে শুয়ে আছে অবলিলায়। কোন কোন পাহাড় এতই উচু যে তার চূড়া ঢেকে আছে মেঘের আস্তরে। প্রকৃতি এখানে এতো সুন্দর ভাবাই যায় না।
কুমিল্লার গৌরীপুর সৃষ্টি সাহিত্য সাংস্কৃতিক ও সমাজ কল্যান সংগঠনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এখলাস মুন্সি বলেন, সম্প্রতি আমরা ১৮ জনের একটি দল গিয়েছিলাম সেখানে। আমাদের দেখা নাফাখুম-ই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত। উপর হতে আছড়ে পড়া পানির আঘাতে ঝর্নার চারিদিকে সৃষ্টি হয় ঘন কুয়াশার। উড়ে যাওয়া জলকনা বাষ্পের সাথে ভেসে ভেসে শরীরে এসে পড়ে। রোমাঞ্চকর সে অনুভূতি। একে বাংলার নায়াগ্রা বললে ভূল বলা হবে না।
যাওয়ার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তারা বলেন, দিনে গিয়ে দিনেই নাফাখুম ঝর্না থেকে থানচি ফিরে আসাটা খুবই কষ্টকর। তাই কেউ চাইলে রেমাক্রীতে রাত্রি যাপন করে চারপাশটা ভালোভাবে ঘুরে ফিরে দেখে আসতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :