দাউদকান্দিতে কিশোর গ্যাং ও অপরাধ নির্মূলে বিট পুলিশিং মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত


admin. প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৮, ২০২১, ১০:৪২ অপরাহ্ণ /
দাউদকান্দিতে কিশোর গ্যাং ও অপরাধ নির্মূলে বিট পুলিশিং মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত

 

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
কিশোর গ্যাং ও অপরাধ নির্মূলে দাউদকান্দিতে বিট পুলিশিং মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে। বুধবার বিকাল ৪টায় উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিন ইউনিয়নের বাসরা মাহম্মদিয়া মাদরাসা মাঠে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়। গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্য মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ জুয়েল রানা। সভায় কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচার, চাদাবাজি ও হয়রানীমূলক মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাসরা, চাপাতলী ও লখাইতলী গ্রামের কামাল মেম্বার, হুমায়ুন কবির চৌধুরী, রুহুল আমিন, রেহানা বেগম, জয়নাল সরকার, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য রিয়াজ উদ্দিন, আক্তার হোসেন, ডলি আক্তার, মঞ্জু মিয়া ও সাদ্দাম হোসেন প্রমূখ। বক্তারা বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আমরা বাসরা গ্রামের আলী আহাম্মদের ছেলে বাধঁনের অত্যাচারে আমরা অতীষ্ট। কোন অনুষ্টান করলেই তাকে চাঁদা দিতে হয়। তার নামে মামলা করলে উল্টো বিপদে পড়তে হয়। এলকার কয়েকটি পুকুর সে দখল করে রেখেছে। আমরা গ্রামের মানুষ বাধনের পরিবারের সদস্যদের অত্যাচার থেকে বাচতে চাই। কিশোর গ্যাং, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত সমাজ চাই।
সভায় বাধনের বড় ভাই রাজিব তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের জমি নিয়ে একটি ঝামেলা আছে। অনেকবার বসা হয়েছিল, কিন্তু শেষ হয়নি। বাধন সরকারী চাকরী করে। সে এলাকায় আসলে ওর সাথে এলাকার ছেলেরা চলাফেরা করে। এনিয়ে এলাকায় কথা উঠলে আমরা পারিবারিকভাবে বাধনের উপর চাপ সৃষ্টি করি এবং তার(বাধন) এলাকায় আসা বন্ধ করে দেই। তারপরও মাঝে মাঝে আসলে আমরা চাপের মধ্যে রাখি। বাধন এলাকার কারো ভালো করতে গিয়ে কারো খারাপও হয়েছে। এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। গত আট মাস আমার ভাই এলাকায় আসে না। এলাকাবাসীর অভিযোগের সত্য মিথ্যা জানি না, তারপরও আমার ভাইদের ভুলত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি । ভবিষ্যতে আমরা একসাথে মিলে মিশে থাকতে চাই।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ জুয়েল রানা বলেন, একটি পরিবারকে নিয়ে গ্রামবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, এটা অত্যান্ত দুঃখের বিষয় যে পরিবারটির নামে গ্রামবাসীর অভিযোগ ওই পরিবারের চারজন সদস্য সরকারী চাকুরীজিবী, গ্রামের মানুষ বিভিন্ন সমস্যা বা পরামর্শের জন্য তাদের নিকট যাওয়ার কথা। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহার ! এটা আমাদের জন্যও লজ্জার বিষয় যে আমরা আরো আগে গ্রামবাসীর পাশে দাড়াতে পারি নাই। তবে দাউদকান্দিতে যোগদান করার পরই পরই এখানকার তিন গ্রামের বিশৃঙ্খল অবস্থার বিষয়টি আমার নজরে আসে। কয়েক মাস আগে আমি এ গ্রামে আসছিলাম। আগের চেয়ে এখনকার পরিবেশ অনেকটাই বদলে গেছে।
তিনি বলেন, উভয় পক্ষের বক্তব্যে একটি বিষয় উঠে এসেছে যে, সবায় শান্তি চায়। আজ থেকে তিন গ্রামে বাধনের পরিবারের পক্ষ থেকে আর কোন ধরনের অপ্রিতীকর ঘটনার জন্ম নেবে না, যেটা তার বড় ভাই বলেছে এবং গ্রামবাসীর নিকট ক্ষমাও চেয়েছে। তাই ভবিষ্যতে কেউ কারো নামে কোন অভিযোগ যেন করতে না হয় সবা কে সেভাবে বসবাস করার অনুরোধ জানান।

শেয়ার করুন