“হৃদয়ের মোহনা থেকে নদীর মোহনায় আমরা”


admin. প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২, ২:০৪ অপরাহ্ণ /
“হৃদয়ের মোহনা থেকে নদীর মোহনায় আমরা”

সকালে সহকার্মী (সিনিয়র) আব্দুল করিম ভাই কল দিয়ে বলে বাসা থেকে বের হও। দাউদকান্দি বাজারে এসে করিম ভাই আর আমি বিশ্বরোড যাই। সেখানে বাইক নিয়ে অপেক্ষায় জাকির হাজারী। বাইক দিয়ে এক্সপিড সিএনজি স্টেশন যাই। সেখানে উপস্থিত জিল্লু ভাই, সোহেল ও মিনার ভাই।
বসে গল্প করছি। হঠাৎ একজন বলে উঠলো চলেন ইলিশের দেশে যাই। একে একে সবাই রাজি। তিনটি বাইকে আমরা ছ’জন রওনা হলাম। শ্রীরায়েরচর হয়ে বেড়িবাধের পথ ধরে ছুঁটছি। হঠাৎ বৃষ্টি, বাইক থামিয়ে অপেক্ষা। কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি উধাও। রোদ বৃষ্টির খেলায় আমরাও মেতে উঠি। কখনো কখনো বৃষ্টিতে ভিজেই চলে বাইক। অবশেষ মতলব সেতু পাড়ি দিয়ে চাঁদপুরের পথ ধরে চলছি। পথিমধ্যে বেলা ৩টায় মসজিদে যোহর-এর নামাজ আদায় করি।
নামাজ শেষে একটানে চাঁদপুর মোহনায়। সেখানে পৌছে দুপুরের খাবারের জন্য হোটেলে যাই। একপিছ ইলিশ ১২০টাকা দরে ১২ পিছের অর্ডার করি। মাছ ভাজা শেষে খাবার পরিবেশন। খেতে বসে দেখি ইলিশের কোন সাধ বা গন্ধ কিছুই নেই। পরে হোটেল মালিকের সাথে কথা বলে জানতে পারি। চাঁদপুরের প্রকৃত ইলিশ পাওয়া কঠিন। আমরা যা খাইছি তা নাকী নোয়াখালীর ইলিশ। অনেক মজা-আর হাসাহাসি করলাম।
দুপুরের খাবার শেষে তিন নদীর মোহনায় হাঁটছি। কিছুক্ষণ পর দেখি, পপি লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট রাজনৈতিক অধ্যাপক আব্দুল মজিদ স্যার হাঁটছে। আমরা সালাম ও পরিচয় দিয়ে কথাবলি। স্যার, আমাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। আমাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
আসরের নামাজ পড়লাম মোহনার’ পাশের মসজিদে। নামাজ শেষে আরো কিছুক্ষণ সময় কাটালাম। পরে ইলিশ ঘাটে গিয়ে হরেক রকম মাছ দেখলাম। দাম শোনলাম। মাছ ধরার ট্রলারে উঠলাম। ট্রলার থেকে মাছ নামানোর দৃশ্য দেখলাম। মাঝি ও ঝেলেদের সাথে আলাপ করলাম। এবং বাজারে সিন্ডিকেট করে বিক্রির কৌশলও দেখলাম। অবাক হলাম।


মাগরিবের আযান চলছে, আমরা রওনা হলাম। সোহেল মিনার ভাইকে সাথে নিয়ে চলে যাচ্ছে, করিম ভাই জাকির হাজারীর গাড়ীতে। আমি জিল্লু ভাইয়ের গাড়িতে। আমরা মতলব শহর ছাঁড়িয়ে গৌরীপুর সড়ক ধরে ফিরছি। গৌরীপুর স্টেশনে পৌছলে জাকির হাজারী বাসায় চলে যায়। করিম ভাই আমাদের বাইকে উঠে। আমরা আল্লাহর রহমতে সঠিকভাবে দাউদকান্দি বিশ্বরোড এসে পৌছাই। করিম ভাই বাসায় চলে গেলে আমি আর জিল্লু ভাই মোহন সিন্ডিকেট সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বসে গল্প করি।
সহকর্মী, সৎ চিন্তা, নিরহংকারী হলেই একজনের হৃদয়ে আরেকজন বাস করে। আমাদের হৃদয়ের মোহনা থেকেই আজকে কাকতালীয় ভাবে নদীর মোহনায় ঘুরে এলাম। ভালো থাকুক সহকর্মীরা।
লেখকঃ
শরীফ প্রধান
গণমাধ্যমর্কমী
২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

শেয়ার করুন