মারুকা ইউনিয়নে খলিল তালুকদার জনপ্রিয়তার শীর্ষে


admin. প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৯, ২০২১, ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ /
মারুকা ইউনিয়নে খলিল তালুকদার জনপ্রিয়তার শীর্ষে

স্টাফ রিপোর্টার,
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউপি নির্বাচন। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে ইউপির অলি-গলি, বাসা-বাড়ি, চায়ের দোকান ও বিভিন্ন স্থাপনায়।
নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থীরা খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে কোমর বেঁধে নির্বাচনী মাঠে দিন-রাত সময় দিচ্ছেন।
তাদের মধ্যে উপজেলার মারুকা ইউনিয়নে প্রচার প্রচারণায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে নৌকার প্রার্থী খলিল তালুকদার। বর্তমান চেয়ারম্যান খলিল তালুকদার যুব সমাজের অহংকার, গরীব, দুস্থ অসহায় মানুষের আশ্রয়স্থল। সুশিক্ষিত, মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হওয়ায় এবারও অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়েও মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে আছেন এমনটা বলেন স্থানীয় ভোটাররা। তিনি জনপ্রিয়তায় শীর্ষে থাকলেও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী অঙ্গসংগঠন ও অত্র মারুকা ইউনিয়নের ভোটারদের সাথে প্রতিদিনই শুভেচ্ছা বিনিময়, মতবিনিময় ও দোয়া চেয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও উঠান বৈঠকসহ চালাচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে আজ আলোয় আলোকিত দাউদকান্দি উপজেলার মারুকা ইউনিয়ন। একটা সময় যেখানে রাস্তাঘাটের ছিল বেহাল দশা, আজ সেখানে পিচঢালা পথ, স্ট্রিট লাইটসহ বিভিন্ন উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। গত পাঁচ বছরে চেয়ারম্যান থাকাকালীন এসব কাজ বাস্তবায়ন করেছেন খলিল তালুকদার। করোনাকালীন সময়ে পরিষদের অর্থায়নের পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নেও সহযোগিতা করেছেন ইউনিয়নের অসহায় খেটে খাওয়া হত-দরিদ্র পরিবারকে।

খলিল তালুকদার, উপজেলায় ব্যাপক জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি হওয়ার কারণ তিনি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই নিজস্ব অর্থায়নে পর-উপকারী ছিলেন। বর্তমানেও অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগসহ তিনি অত্র ইউনিয়নবাসীর সকলের সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রেখে সর্বপ্রকার সেবামূলক কর্মকান্ড চালিয়েছেন এবং চালিয়ে যাচ্ছেন যেমন পরিষদের অর্থায়নে কাঁচা রাস্তা সংস্কার, করোনা কালে খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণসহ পবিত্র ঈদে অসহায়দের সহযোগীতা এবং দূর্গা পূজায় ইউপির প্রতিটি মন্দির পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন তিনি।

খলিল তালুকদার বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য কন্যা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশরতœ শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা মেনে সবসময় মারুকা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের পাশে থেকে আওয়ামী সরকারের সকল সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছি। তিনি আরোও বলেন, আমাকে প্রধানমন্ত্রী দলীয় মনোনয়ন আবারও দেন। তাহলে আমার বিশ্বাস জনগনের ভোটের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ আবারো আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। আর আমি নির্বাচিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করবো এবং সকল প্রকার প্রচেষ্টায় বাস্তবায়নে কাজ করবো। যেমন গ্রামে উন্নয়নের ছোয়া পৌঁছে দিয়ে দুঃখ, দুর্দশা, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখবো। আমি কখনোই নিজের উন্নয়নে নয় বরং ইউনিয়ন বাসীর উন্নয়নে কাজ করবো। অতীত, বর্তমানে যেভাবে সকলের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিলাম। ঠিক তেমনি ভাবে মানুষের পাশে থাকবো। সাধারণ মানুষের সম্ভাবনাময় স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্যই তৃণমূলের মানুষের দোয়া ও ব্যাপক সমর্থন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও আমার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে জনগণের ঘরে ঘরে নাগরিক সেবা পৌঁছে দেওয়া। অত্র ইউনিয়নকে দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত এক সময়ের অবহেলিত মারুকা ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসাবে ইউনিয়নবাসীকে উপহার দিবো।

শেয়ার করুন