ডেস্ক রিপোর্ট
জামালপুরে বকশীগঞ্জ উপজেলায় সন্ত্রাসী হামলায় বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী নাদিমের মৃত্যুর ঘটনায় ৩ জন আটক করেছে পুলিশ।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা। তবে আটককৃতদের নাম পরিচয় এখনো প্রকাশ করিনি পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বেলা পৌনে ৩ টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল (১৪ জুন) বুধবার রাত সাড়ে ১০ টা দিকে বকশীগঞ্জ পৌরসভার পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন।
পরে স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ কয়েকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পরে রাত সাড়ে ১টার দিকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
পৌরসভার সিসি টিভি ফুটেছে দেখা যায়,’ রাত সাড়ে দশটার দিকে পেশাগত কাজ শেষে মোটরসাইকেল করে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এসময় চলন্ত মোটরসাইকেলের পিছনে কয়েকজন দৌড়ে গিয়ে নাদিমকে পিছন থেকে আটকে ধরে। পরে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে কয়েকজন ধরে মারধর করে।
সিসিটিভি ফুটেজে লোকদের চিহ্নিত করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে তিনজনকে আটক করেছেন বাকিদের আটক করার চেষ্টা চলছে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, কিছু দিন আগে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ আলম বাবুকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। স্ত্রীর মর্যাদার পেতে ও অধিকারের জন্য এ সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনের খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। ওই সংবাদ প্রকাশের ঘটনার জেরে নিহত সাংবাদিকসহ কয়েকজনের সাংবাদিক নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান। পরে মামলাটি গতকাল বুধবার ময়মনসিংহের সাইবার ট্রাইব্যুনাল খারিজ করে দেন। রাতে সাংবাদিক নাদিমের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত সাংবাদিক নাদিমের পরিবারের অভিযোগ,সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ওই চেয়ারম্যানের ছেলেসহ কয়েকজন নাদিমের উপর হামলা করে।
বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ ঘটনার পর থেকেই চেয়ারম্যান বাবু পলাতক রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
এবিষয়ে বকশীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন,’সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটক করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে সাংবাদিক নাদিমের হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দি ও তিতাস উপজেলা কর্মরত সাংবাদিকরা। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত দ্রুত গ্রেপ্তারেরও দাবি জানান ।
আপনার মতামত লিখুন :