মোবাইল ফোনে নজরদারি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাদেশে


প্রকাশের সময় : আগস্ট ১৫, ২০২১, ৫:৪৮ অপরাহ্ণ
মোবাইল ফোনে নজরদারি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাদেশে

ইসরায়েলে তৈরি স্পাইওয়্যার পেগাসাসের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে সাংবাদিক, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, অধিকার কর্মী এবং আরো অনেকের ওপর গোপন নজরদারি নিয়ে এক অনুসন্ধানী রিপোর্ট নিয়ে তোলাপাড় চলছে এখন।

যেসব দেশে এই প্রযুক্তি ব্যাপকহারে ব্যবহার করে নজরদারি চালানো হয়েছে সেই তালিকায় বাংলাদেশের নাম এখনো পর্যন্ত আসেনি।

তবে বিভিন্নভাবে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের উপর নজরদারি চালিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

ব্যক্তিগত ও পেশাগত গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ

২০১৩ সালের অক্টোবর মাসের ঘটনা এটি, যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মধ্যকার টেলিফোন আলাপ ফাঁস হয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়েছিল।

বাংলাদেশের দুইজন শীর্ষ স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তির- যাদের একজন প্রধানমন্ত্রী – ফোনালাপ কিভাবে ফাঁস হলো, কারা রেকর্ড করলো সে প্রশ্নের পরিষ্কার জবাব এখনো মেলেনি।

তবে সন্দেহের তীর সরকারের দিকেই। কারণ, এই ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে বিরোধী পক্ষ আপত্তি তুললেও সরকারের দিক থেকে এর বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে শোনা যায়নি।

সেই ঘটনার পর থেকে গত আট বছরে বাংলাদেশে একের পর এক ফোনে নজরদারির ঘটনা সামনে এসেছে। ফোনে নজরদারির এসব ঘটনা অনেকের মাঝেই বেশ উদ্বেগ তৈরি করেছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশনা ইমাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, একজন আইনজীবী হিসেবে বিষয়টি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।

“আমাদের লিগ্যাল প্রফেশনে ক্লায়েন্ট কনফিডেন্সিয়ালিটি বলে একটা ব্যাপার আছে। একজন মক্কেলের সাথে তার এডভোকেটের যে যোগাযোগ হয়, সেটা প্রোটেকশন পায়। সে কমিউনিকেশন আমরা কনফিডেনসিয়াল রাখতে বাধ্য।”

আইনজীবীরা গোপনীয়তা বজায় রাখলেও মোবাইল ফোন সার্ভিলেন্সের মাধ্যমে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করেন আইনজীবী রাশনা ইমাম।

শেয়ার করুন