প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে যুবলীগ নেতা সারোয়ার বাবুর সংবাদ সম্মেলন

তিতাস প্রতিনিধি,
কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক  সারওয়ার হোসেন বাবু তাকে নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইনে  প্রকাশিত সংবাদকে ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও অমূলক আখ্যায়িত করেছেন।
রবিবার বেলা ১১টায় তিতাস  প্রেসক্লাবের সামনে উপজেলা যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ওই সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে এর প্রতিকার দাবি করেছেন।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তিতাস উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ও সদর কড়িকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান  মো.সাইফুল আলম মুরাদ ও তিতাস উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি এ কে এম কামরুল হাসান তুষার।
সাংবাদিক সম্মেলনে সারোয়ার বাবু বলেন, শীগ্রই কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের  নতুন কমিটি  ঘোষনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । আমি সভাপতি/আহ্বায়ক পদে প্রার্থী হিসেবে জীবনবৃত্তান্ত কেন্দ্রে জমা দিয়েছি। আমি পূর্বের কমিটিতেও একমাত্র যুগ্ম-আহবায়ক পদে দায়িত্ব পালন করেছি এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেছি। এবার সভাপতি পদে আমার নাম আলোচনায় থাকায় আমার জনপ্রিয়তায় ঈশ্বার্নিত হয়ে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রনোদিত মিথ্যা বানোয়াট ও ভুল তথ্যের মাধ্যমে আমাকে হেয় করার জন্য একতরফা নিউজ প্রচার করিয়েছে। আমি এই মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজের  তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন একটি  জাতীয় দৈনিকের অনলাইন ভার্সনে  কিভাবে আমার বক্তব্য না নিয়ে  একতরফা নিউজ প্রচার করেছে  তা আমার বোধগম্য নয়। আর  এই নিউজের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠে।  রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে স্থানীয় একটি কুচক্রিমহল  আমার পিছনে শুরু থেকেই লেগে আছে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্যই এই সমস্ত নোংরামি শুরু করছে।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের ৬ জুলাই তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) সংসদীয় আসনের সাংসদ  সেলিমা আহমাদ মেরিকে ইঙ্গিত করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি’র ওয়ালে স্টাটাস দেন যে- “পানি উঠল কৈ,  ত্রাণ দিল কৈ, ভন্ডামির রাজনীতি ছাড়েন, মুখ খুললে ইজ্জতের কাপড় থাকবে না’’। একজন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের এমন অশালীন মন্তব্যে প্রতিবাদে তিতাস উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ, কর্মী ও সমর্থকরা প্রতিবাদ ও ঝাড়ু মিছিল করেন। পারভেজ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধ ঝাড়ু  মিছিল করায়  ২৬ জুলাই তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের গোপনীয় শাখায় একটি  মিথ্যা অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে তিতাস থানা অফিসার ইনচার্জ এর তদন্ত সাপেক্ষে আমি নির্দোষ প্রমানিত হই।
তিনি প্রকাশিত নিউজটকে  মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবী করে এর  তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এসব ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যে, বানোয়াট বিষয়গুলো কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অবহিত আছেন। এসব মিথ্যে দিয়ে আমাকে থামিয়ে রাখা যাবে না। কারণ সত্যের জয় চিরন্তন।
উল্লেখ্য,  গত ১৯ সেপ্টেম্বর দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইন ভার্সনে “কুমিল্লায় যুবলীগের পদ বাগাতে মরিয়া বিতর্কিতরা, তৃণমূলে দুশ্চিন্তা” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।