হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে দেয়া হুবহুব বার্তাটি নিচে দেয়া হলো।
হঠাৎ ভারী বর্ষণ বা থেমে থেমে বৃষ্টি হলে এবং আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার বংশবিস্তার এর কারণে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে পারে । এমতাবস্থায় ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া রোগ বিষয়ে সর্তকতা এবং এডিস মশা নির্মূলে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া অতীব জরুরী।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া কি?
(১) এগুলো হলো ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়।
(২) সাধারণ চিকিৎসাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জ্বর ভালো হয়ে যায়, তবে হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর, ডেঙ্গু শক সিনড্রোম মারাত্মক হতে পারে ।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও করণীয়:
আকস্মিক তীব্র জ্বর (১০৪-১০৫সে:), মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা, চোখের পিছনে ও হাড়ে প্রচন্ড ব্যথা, চামড়ায় লালচে দাগ বা ছোপ ছোপ র্যাশ। তাই-
(১) রোগীকে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার যেমন খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি তাজা ফলের রস ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।
(২)দিন ও রাতে কিংবা বিশ্রামের সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে।
(৩) জ্বরে শুধুমাত্র প্যারাসিটামল ব্যবহার করা যেতে পারে কোন অবস্থাতেই অ্যাসপিরিন, এনএসএআইডি গ্রুপের ঔষধ সেবন করা যাবে না।
(৪) হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হলে দাঁতের মাড়ি, নাক, মুখ, পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রোগীকে অবশ্যই দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে।
চিকুনগুনিয়া জ্বরের লক্ষণ ও করণীয়:
(ক) এ রোগের লক্ষণ ডেঙ্গু রোগের মতই। সাধারণত, চিকুনগুনিয়া রোগটি এমনি এমনি সেরে যায় তবে, কখনো কখনো গিঁটের ব্যথা কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছর থাকতে পারে।
(খ) গিঁটের ব্যথার জন্য ঠান্ডা পানির স্যাক, হালকা ব্যায়াম উপকারী হতে পারে। প্রয়োজনে নিকটস্থ সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে।
প্রতিরোধ :
এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার জমানো পানি, ফেলে দেয়া খাবারের পলিথিনের মোড়ক, কোমল পানীয়র বোতল, বাড়ির ভেতরের ফুলের টব, এসি ও ফ্রিজের তলায় ও আশে পাশে পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা জমাকৃত পানিতে ডিম পাড়ে। এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলায় ,সূর্যোদয়ের পর এবং সূর্যাস্তের পূর্বে কামড়ায়। তাই মশার বিস্তার রোধে-
ফুলের টব পরিত্যাক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, এসি ও ফ্রিজের তলায় ইত্যাদিতে পানি জমতে দেয়া যাবে না। বাড়ির আঙ্গিনা নির্মাণাধীন ভবনে পানির চৌবাচ্চা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। দিনে ও রাতে কিংবা বিশ্রামের সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে। কোথাও পানি জমে থাকলে তা তিন দিনের মধ্যে অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। তিন দিনের বেশি সময় বাড়ির বাইরে অবস্থান করলে কমোড এবং জমানো পানি পাত্র অবশ্যই ঢেকে রেখে যেতে হবে। দিনের বেলায় যারা লম্বা সময় বসে কাজ করেন যেমন শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী সকলেই লম্বা পোশাক এবং পায়ে মোজা পরিধান করতে হবে।
জনসচেতনতায়- ডাঃ মোহাম্মদ আবদুছ ছালাম সিকদার, হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা , হোমনা, কুমিল্লা।