স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে কথিত অনলাইন টিভির নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে।
প্রবাসীর আইডিতে দেয়া পোস্টটি করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়। ফেইসবুকের ওই পোস্টে অভিযোগ করা হয়েছে তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া গ্রামের রাজ মিয়া সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হলে টাকা না দেয়ায় স্বজনদের নিকট লাশ হস্তান্তর করেনি পুলিশ। ওই পোস্টে ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের এর নাম উল্লেখ করে অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে কোনো যাচাই বাছাই ছাড়াই চলছে নানা মন্তব্য ও আলোচনা সমালোচনা ।
খবরের সত্যতা জানার জন্য শনিবার (১৩জুন) নিহত (সড়ক দূর্ঘটনায়) রাজ মিয়ার বাড়ী তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া গ্রামে ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী অভিযোগটিকে অপপ্রচার বলে আখ্যা দিয়েছেন। করোনা মহামারি মোকাবেলার মধ্যে পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার ষড়যন্ত্র কীনা এমন প্রশ্নও করেছে অনেকে।
নারান্দিয়া গ্রামের মেম্বার মনির বলেন, ৮জুন রাত সাড়ে ৮টায় পুলিশ ফোন করে রাজ মিয়ার মৃত্যুর খবর জানায়। রাতেই তার স্বজনদের নিয়ে ফাঁড়িতে পৌছতে আড়াইটা বেজে যায়। পরে পুলিশ বলছে সকালে যাওয়ার জন্য। সকালে গেলে বলে রাজ মিয়ার নাকি স্ত্রী দুইজন তাই ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দেয়া যাবেনা। আর সিএনজি ভাড়ার জন্য সামান্য কিছু টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু আহামড়ি কিছু হয়নি যেটা ফেসবুকে দিতে হবে।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, দূর্ঘটনার লাশ নিকটত্মীয় (বাবা,মা, ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী) ছাড়া বিনা ময়না তদন্তে দেয়ার আইন নাই। মৃত ব্যত্তির স্ত্রীর সংখ্যা একাধিক হলে একজন স্ত্রী এলেও ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তর করার বিধান নেই। নিকটত্মীয় ছাড়া এলাকার মেম্বারের কাছেও বিনা ময়না তদন্তে লাশ হস্তান্তরের কোন বিধান নাই
আর রাজ মিয়া নামের ওই ব্যাক্তি সন্ধ্যায় সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায়। রাতে ময়না তদন্ত করার উপায় না থাকায় পরদিন সকালে মর্গে মৃতদেহ পাঠানো হয়।
সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত রাজ মিয়ার ভাগিনা পরিচয়ে বিনা ময়না তদন্তে লাশ নিতে চেয়েছিলো, কিন্তু ময়না তদন্ত ছাড়া দেয়ার কোন সুযোগ ছিলো না।